ইংরেজি নাম Checkered Keelback বৈজ্ঞানিক নাম Xenochrophis piscator বাংলায় ঢোঁড়া সাপ দেশের পরিচিত সাপের মধ্যে অন্যতম । বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় । এরা সাধারণত পুকুর, ডোবা খাল- বিল,ফসলী জমি যেই খানে অল্প বিস্তর পানি থাকে ঐ সকল জায়গাতে বেশি দেখতে পাওয়া যায় ।জলের সান্নিধে বেশির ভাগ সময় থাকে বলে একে জলঢোঁড়া সাপও বলে। এদেরকে মাঝে মাঝে সমতল ভুমি ও পাহাড়ি অঞ্চলেও দেখতে পাওয়া যায় ।
সাপটির দৈর্ঘ্য ১৫০ থেকে ১৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। দেহের রঙ উপরিভাগ হলুদাভ সাদাটের সঙ্গেজুড়ে বাদামি বা কালো রঙের ছককাটা ছোপ ছোপ দাগ থাকে। দেহের নিচের অংশ চক চকে হলদে সাদাটে হয়ে থাকে । মাথার রঙ বাদামি। চোখের নিচে থেকে ওপরের ঠোঁট পর্যন্ত কালো একটা রেখা থাকে। ঢোঁড়া সাপের চোখ বড় ও বৃত্তাকার কোটর হয়ে থাকে ।
এদের খাদ্য তালিকায় আছে ব্যাঙ ,ইঁদুর, ছোট মাছ, পাখি , গিরগিটি ইত্যাদি । ব্যাঙ ও ইঁদুর খেয়ে খাদ্য শৃঙ্খলের এক অসাধারন ভুমিকা পালন করে ঢোঁড়া সাপ। নির্বিষ প্রজাতির হলেও সব চেয়ে বেশী আক্রোশের শিকার এই প্রজাতির সাপটি ।ক্রমাগত মানুষের আবাসভূমির বিস্তার, কৃষি জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ, জলাশয় ভরাট করে বসতি স্থাপনে এদের আবাসস্থল সংকোচনের পাশাপাশি জলাভূমি দূষিত হয়ে যাওয়ায় এরা খাদ্য এবং আশ্রয় হারাচ্ছে। আমাদের অজ্ঞতার কারনে যখন এরা খাবারের খোঁজে লোকালয়ে আসে তখন আমরা এদেরকে মেরে ফেলি। কৃষক জমিতে কীটনাশক ব্যাবহারের ফলে খাবারের দ্বারা আমাদের শরীরের মাঝে ও এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আক্রান্ত হতে পারি বিভিন্ন মরণ ঘাতি রোগে। এতে আমাদের যেমন কর্ম ক্ষমতা হরাই তেমনি আর্থসামাজিক ক্ষেত্রেও অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হই ।
তাই আমরা যদি অযথা সাপ হত্যা না করি , কৃষক জমিতে বিষ প্রয়োগ না করে সাপ সংরক্ষণ করে তাহলে দেখা যাবে এই বিষ এর কারণে যেই রোগ হয় তা থেকে আমরা রক্ষা পাবো অপর দিকে আমরা আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রেও উপকৃত হবো। তাই পরিবেশ এর ভারসাম্য এর জন্য আমাদের বন্দু ঢোঁড়া সাপের রক্ষ্যায় সবাই সচেতন হই।
Aug/2014
snp
snp

Amader Prochar r o beshi kore korte hobe
উত্তরমুছুন